গাছের খাদ্য & সার-fertilzerএর নতুন বিষয়
কেন ব্যবহার করবেন কোকোডাস্ট বা কোকপিট ব্লক
ছাদে বা বারান্দায় বাগান করার একটা বড় প্রতিবন্ধকতা হলো মাটি । কিন্তু শহরে মাটি খুঁজে পাওয়া যেমন কঠিন। তেমনি এর পরিবহন খরচও অনেক বেশি। বিকল্প হিসেবে এখন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কোকোপিট বা কোকোডাস্ট। কিভাবে ব্যবহার করবেন কোকোডাস্ট? ৫০%কোকোডাস্ট+৩০%ভার্মি+২০% মাটি
কেন ব্যবহার করবেন?
* টবে মাটি ব্যবহার করলে ওজন বেশি হয়, কিন্তু কোকোডাস্ট ব্যবহার করলে কম হয়। ছাদের ওপর অনেক টব ব্যবহার করলে লোড ক্যাপাসিটি কম হয়।
মাটির তুলনায় কোকোডাস্ট পরিমাণে অনেক কম লাগে। তাই খরচ প্রায় তিন ভাগ কমে যায়।
*কোকোডাস্ট দিয়ে টবে গাছপালা লাগালে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং পানি দিলে টবের ভেতর কখনও জলাবদ্ধতা তৈরি হয় না, পানি সাথে সাথে দ্রুত সব জায়গাতে ছড়িয়ে দেয় এবং নির্দিষ্ট পরিমাণমতো পানি ধরে রেখে গাছকে সতেজ রাখে এবং কখনও পানি আবদ্ধ হয়ে গাছ মারা যায় না ।
*ক্রমবর্ধমান হাইড্রোপোনিকউপায়ে সবজি চাষের জন্য কোকোপিট ব্যবহার করা হয় যেন কোনোভাবেই গাছ বা চারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়
*কোকোডাস্ট মাটির তুলনায় অনেক হালকা এবং টবে ব্যবহারের সময় খুব সহজেই কোকোডাস্টের ভেতর বাতাস চলাচল করতে পারে যার ফলে গাছ বেশি বেশি অক্সিজেন নিতে পারে।
*কোকোডাস্টের শোষক সময়কাল অনেক : ফলে এটা গাছে ধীরে ধীরে শোষিত হয়;
*কোকোপিট একটি উচ্চ বাফার ক্ষমতাসম্পন্ন জৈব পদার্থ যা মাটির গুণাগুণ বজায় রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। কাকোপিটের পিএইচ (pH) সবসময় ৫.৫ থেকে ৭ থাকে যা সুস্থ উদ্ভিদ তৈরি করে এবং খুব সহজেই উন্নত মানের গাছপালা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং এর ফলে অনেক বেশি পরিমাণে ফসল সংগ্রহ করা যায়;
*কোকোডাস্ট দিয়ে যে কোনো প্রকার চারা তৈরি বা গাছ লাগানো যেতে পারে, নির্দিষ্ট কোনো ধরা বাঁধা নিয়ম নেই।
* নার্সারির চারা তৈরি কলম লাগানোর ক্ষেত্রে কোকোডাস্ট নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। একে কাজে লাগিয়ে কৃষিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।
নারিকেল থেকে জৈব সার তৈরি
নারিকেলের তুষ ফলের অংশ হওয়ায় গাছের বৃদ্ধির জন্য দরকারি সব পরিমাণ পুষ্টি বিশেষ করে পটাশিয়াম জাতীয় পদার্থ থাকে। পচানোর পর মাটিতে প্রয়োগ করলে মাটির পানি ধারণক্ষমতা ও অন্যান্য ভৌতিক গুণাবলি বৃদ্ধিসহ অনুজীবের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে দীর্ঘমেয়াদে গাছের পুষ্টি সরবরাহ ও বৃদ্ধি-সহায়তা প্রদান করে। তাছাড়া নারিকেল থেকে তৈরি জৈব সারে আছে অনেক রকমের এনজাইম (Enzyme) ও কোষীয় পদার্থ যা শিকড় দিয়ে গাছের মধ্যে প্রবেশ করে ও গাছের রোগ প্রতিরোধ ও পোকার আক্রমণ প্রতিহত করার বাড়তি ক্ষমতা প্রদান করে। নারিকেল থেকে তৈরি জৈব সারে আছে ৬০.৭৫% জৈব পদার্থ, ০.৭৬/ নাইট্রোজেন, ০.৪% হারে ফসফরাস ও পটাশ, ০.২% সালফার ও ০.০০৪ বোরন।
কোকোডাস্ট প্রতি কেজি ৩৫ টাকা
কোকব্লক ২-২.৫ কেজি ২৩০ টাকা
কোকোব্লক ৪.৫-৫ কেজি ৩৫০ টাকা
যোগাযোগ
গাছের খাদ্য & সার-fertilizer
fb.com/nishynature
Login To Comment